চর্যাপদ
চর্যাপদ |
‘চর্যাপদ’-এর কবিতাগুলো বৌদ্ধ বাউল কবিদের রচিত। তারা নানা উপমা ও উদাহরণের দিয়ে নানা ধর্মীয় বিষয়কে ব্যাখ্যা করেছেন চর্যাগুলোতে। তবে চর্যাপদের কবিতাগুলোতে পাওয়া যায় বাংলাদেশের নদ-নদীর কথা, পাহাড়, খাল, বিল আর মানুষের কথা, সমাজের সুখ-দুঃখ ও দারিদ্র্যের কথা, বিশেষ করে আমাদের এই উত্তরাঞ্চল তথা বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ‘ভাওয়াইয়া’ ও অন্যান্য গানের মধ্যে চর্যাপদের শব্দের গভীর প্রভাব পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। এতে প্রমাণ হয়, হয়তো বৌদ্ধ আমলের কোনো কবির আদি বাসস্থান ছিল আমাদের এই উত্তরবঙ্গের রংপুর জেলাতেই। (পণ্ডিত রাহুল সাংস্কৃত্যায়নের মতে কাহ্নপা ছিলেন এ অঞ্চলের কবি, তার সাধনক্ষেত্র ছিল উত্তরবঙ্গের সোমপুর বিহার)। চর্যাচয় বিনিশ্চয় গ্রন্থে ২৩ জন কবির মোট ৫০টি পদ ছিল। কিন্তু হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যে পাণ্ডুলিপিটি আবিষ্কার করেন এ পাণ্ডুলিপিটি খণ্ডিত ও ছেঁড়া থাকায় পাওয়া গেছে সাড়ে ৪৬টি পদ। চর্যাপদ যারা রচনা করেছিলেন তাদের বলা হতো সিদ্ধাচার্য। তাদের অনেকেই ছিলেন ‘নাথ’ সম্প্রদায়ের লোক। প্রাচীন যুগের চর্যাপদের ২৩ জন কবির মধ্যে মীনপা, কুক্করীপা, ডেন্ডনপা, সানুপা, চৌরঙ্গীপা, শবরীপা, লুইপা, বিরূপা, ডোম্বীপা, তেলিপা, পরোপা, দারিসপা, সুষ্করীপা, ভূসুকপা, কাহ্নপা, সরহপা, শাস্তিপা, আর্যদেব, কম্বলাস্বর, কঙ্কন কবির নাম আমরা ভালোভাবে জানি। ২৩ জন সিদ্ধাচার্যের সাড়ে তিনটি খণ্ডিত পত্রসহ সর্বমোট ৫০টি চর্যা ধর্মসঙ্গীত উদ্ধারপ্রাপ্ত হয়েছে।
Disclaimer: This is a read-only copy for advertisement purpose to encourage people to read books. Please, buy the original book.
No comments:
Post a Comment