-->

Welcome here

Confirmed
Deaths
Recovered
Updated:
  • Cardiopulmonary resuscitation (CPR)

    cpr
    CPR

    ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের হার্ট এটাক ফুটবলের সৌন্দর্যকে আরো একবার দেখিয়ে দিল। সবার দোয়ায় ও সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সময়ে জ্ঞান ফিরে আসে তার। ক্যাপ্টেন সাইমন কেজার প্রাথমিক চিকিৎসার সময় CPR না দিলে হয়তো ক্রিস কে আর ফিরে পাওয়া যেত না। কিন্তু আমরা কি জীবন রক্ষাকারী এই পদ্ধতি Cardiopulmonary resuscitation (CPR) সম্বন্ধে জানি? এটা জানা থাকলে আশেপাশে হার্ট এটাক হওয়া বা নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া, হার্টবিট বন্ধ হওয়া যে কারো জীবন বাঁচানো যেতে পারে। 
    গতবছর প্রাইম ব্যাংকে কাজ করা অবস্থায় এক মহিলা মারা গেছেন, এই মারা যাওয়ার ভিডিও আপনারা অনলাইনে দেখেছেন। তার সহকর্মীদের কেউ যদি তৎক্ষনাৎ CPR দিতে পারতেন, তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। 
    ইউরোপ বা আমেরিকার অনেক কলেজ ভার্সিটিতে মাঝে মাঝে ফ্রি তে সিপিআর করা শেখায়। সব জায়গায়ই এই প্রাথমিক চিকিৎসার সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা আছে। এটা একটা জীবন বাঁচানো প্রাথমিক চিকিৎসা। 
    CPR দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে হার্টের উপর চাপাচাপি করে কোন রকমে হার্টটাকে একপ্রকার রিস্টার্ট দেয়া, আবার কোনরকমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করানো। 
    বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটেঘুটে কিছু CPR এর স্টেপ সম্বন্ধে যা ধারণা পেলাম, তার সারমর্ম এরকম- 

    🟥সিপিআর দেয়ার আগে কিছু বিষয় চেক করতে হবে:
    ১। প্রথমে দেখে নেন আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ কিনা। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লোকটার কাঁধে একটা চাপড় দিন, দিয়ে জিজ্ঞেস করুন- "কি অবস্থা?" মানে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে লোকটার আসলেই সাহায্য লাগবে কিনা। যদি তার সাহায্য চাওয়ার মত অবস্থা না থাকে তবেই সাহায্য করা শুরু করুন! 
    ২। ৯৯৯ কল দিন জরুরী সহায়তার জন্য। এম্বুলেন্স নিয়ে আসতে ফোন করে দিন। 
    ৩। বাংলাদেশে কেউ পড়ে যাওয়া মাত্রই আশেপাশে লোকজন ভিড় করে মজা দেখতে শুরু করবে। তারা সহযোগিতা না করে বরং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে তাড়িয়ে দিন। নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করাই সিপিআর এর মূল উদ্দেশ্য। চিৎ করে শুইয়ে দিন। 
    ৪। দেখুন শ্বাস নিচ্ছে কিনা। যদি দেখেন ১০ সেকেন্ড কোন শ্বাস নিচ্ছেনা তবে সিপিআর শুরু করে দিন। 

    🟥কিভাবে CPR দিবেন: 
    ১। হাত বুকের মাঝখানে রাখুন, একটু বাম দিকে। শরীরের ওজন দিয়ে জোরে জোরে চাপ দিতে থাকুন। বেশ জোরে যেন দুই ইঞ্চি পরিমাণ দেবে যায় প্রতিবারে। মিনিটে ১০০ বার এমন চাপ দিন। 
    ২। মুখের মাঝে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিন। এটাকে বলে রেসকিউ ব্রেথ। 
    ৩। আবার বুকের মাঝে ১নং নিয়মের মত করে চাপ দিতে থাকুন যতক্ষন না শ্বাস-প্রশ্বাস আবার চালু হয়। চাপ দিতেই থাকুন! 

    অনেক হালকা মনে হচ্ছে? এই পদ্ধতি জেনে রাখলে হয়তো আপনার কোন আত্মীয়-স্বজনের জীবনও বাঁচবে! CPR লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলে অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে বিষয়ের উপরে। দেখতে পারেন। 
    তবে আমাদের দেশের মানুষের মতো পণ্ডিত সারা পৃথিবীতে আপনি খুঁজে পাবেন না। হাসপাতালে অনেক সময় ডাক্তাররা CPR করতে গিয়ে রোগীর স্বজনদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়। আর রাস্তাঘাটে করতে গেলে তো ধইরা পিটাইবো। বলবে যে চাপ দিয়ে রোগী মেরে ফেলছে! তাই সাবধান থাকাও দরকার।
  • You might also like

    No comments:

    Post a Comment

Popular Posts