-->

Welcome here

Confirmed
Deaths
Recovered
Updated:
  • Judge the past: 2018 by Tushar Siddik


    ফিরে দেখিঃ২০১৮
    Judge the past: 2018; Tushar Siddik
    সময় হলো, আরো একটা বছরের রিভিউ করার! ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ ছিল একটু বেশিই মজার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি, এই আনন্দের রেশ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ তে পদার্পণ।
    পুরো জানুয়ারি মাস কর্মব্যস্ততায় ছিলাম। বাড়তি কাজ হিসাবে ছিল National Household Database এ সাতদিনের অভিজ্ঞতা। এ সাতদিনে কমপক্ষে ২৫০ পরিবারের মানুষের সাথে কথা বলার, মেশার সুযোগ হয়েছে। যাদের জীবনের দুঃখ সুখের গল্প থেকে নিজের জীবনকে সাজানোর ডিজাইন খুঁজে পেয়েছি।
    ফেব্রুয়ারি মাসে তো varsity তে ক্লাস শুরু হলো। প্রথম দিনেই নতুন নতুন বন্ধু বানিয়ে নিলাম। আশা করি এই বন্ধুত্ব থাকবে আজীবন। দিন পার হওয়ার সাথে সাথে বড় ভাই - বন্ধুদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। ফোনবুকের আয়তনও বাড়ল পাল্লা দিয়ে। ভার্সিটির হলে থাকার অভিজ্ঞতা ও প্রথমবারের মতো হলো। হলে প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা এখানে অনেক আগেই শেয়ার করেছি। 
    মার্চ মাস থেকে পুরোদমে হলে থাকা শুরু করলাম। আমাদের এলাকার সংগঠনের কাজ কর্ম থেকে পাততাড়ি গোঁটাতে ফেব্রুয়ারি মাসে আর নিয়মিত হলে থাকা হয় নি। মার্চ মাস শুরু হলো ছোট্ট দূর্ঘটনা দিয়ে। কসমেটিক সার্জারি করাতে হয়েছে। বন্ধুত্বের টানে যে বন্ধুরা ছুটে আসে, আরো একবার প্রমাণ পেলাম।
    এপ্রিল-মে তে ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের সাথে ঘুরে ফিরে সময় কাটিয়েছি।
    জুনের শেষাংশ থেকে আগস্ট অবধি তো ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। বাসায়ই ছিলাম। এলাকার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেতাম। অবস্থা অনেকটা এমন যে, রসুনের সব কোয়ার একটাই গোড়া! জুলাই মাসে মনের ভিতর একটা প্রদীপের সলতেয় শিখা জ্বলল।
    তারপর, আর গুছিয়ে লিখতে পারছি না। প্রজ্জ্বলিত শিখার কথা মনে পড়লেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। তবুও লিখি। হোক অগোছালো কিংবা এলোমেলো। 
    বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত, নতুন নতুন বন্ধুত্ব তৈরি, চেনা জানা মানুষের জন্য কিছু করা, সাংগঠনিক কাজ কর্ম, পড়াশুনা, খেলাধুলা সবকিছুই রুটিন মাফিক ছিল। শুধু আয়ের পরিমাণ শূন্য হয়ে গেল। ইকোনমিক্সে আমরা Opportunity Cost বলি এটাকে!
    লাইফের প্রথমবার বছরের শেষ লগ্নে এসে প্রচন্ডরকম ধাক্কা খেলাম। যদিও আমার একপ্রান্তিক চিন্তাভাবনা ধাক্কা খাওয়ার মূল কারন। জুলাই মাসে জ্বলন্ত শিখাটাকে নেভাতে হাওয়া বইতে শুরু করল। এখনো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, বয়ে যাচ্ছে, বয়ে যাচ্ছ। নিভে যাবে নাকি পবনের বেগের সাথে লড়াই করে জ্বলে থাকবে, সময়ই বলে দিবে। সেই অপেক্ষায় রইলাম।
  • You might also like

    No comments:

    Post a Comment

Popular Posts