-->

Welcome here

Confirmed
Deaths
Recovered
Updated:
  • Mission Voyager 2

    মিশন Voyager 2 (এলিয়েনের খোঁজে)

    Voyager
    Spacecraft: Voyager 

      Voyager  

    ১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে Voyager 2 নেপচুনের কক্ষপথে যেতে সমর্থ হয়। ব্যবস্থাপনায় ছিল California 'র Pasadena তে অবস্থিত Jet Propulsion Laboratory. ১৯৭৭ সালে Voyager 1 ও Voyager 2 নামের দুইটি মহাকাশযান মহাকাশে প্রেরণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু বৃহস্পতি ও শনি লক্ষ্য ছিল।

    Voyager 2 দুইটি গ্রহের মধ্যে (Uranus ও Neptune) ঘটা দুর্লভ সন্নিবেশের সুবিধা পায়। এ সন্নিবেশ প্রতি ১৭৫ বছরে একবার ঘটে। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে এ দুর্লভ সন্নিবেশের ফলে Voyagar 2 সর্বপ্রথম Uranus আবিষ্কার করে। পরে Uranus এর মহাকর্ষ বল কাজে লাগিয়ে সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ Neptune কে পর্যবেক্ষণ করে। Neptune এ সূর্যের আলো খুবই কম পৌঁছে। বৃহস্পতিতে যতটুকু সূর্যালোক পৌঁছে, তার মাত্র তিন শতাংশ। তাই ইঞ্জিনিয়াররা Voyager 2 এর imaging technique এ একটু পরিবর্তন করলেন। এতে কাছের কোনো ছবি তুলতে পনের সেকেন্ড আর দূরবর্তী কোনো ছবি তুলতে এক মিনিট সময় লাগতো। মহাকাশযানের অত্যন্ত গতিতেও পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য প্রোগ্রাম করে দেয়া ছিল Voyager 2 এর কম্পিউটারে। নেপচুন থেকে Voyager এর পাঠানো সংকেত সনাক্ত করার জন্য Deep Space Network (DSN) এর অ্যান্টেনা আপগ্রেড করা হয়।

    Voyager মিশনের আগে নেপচুন সম্বন্ধে আমাদের ধারণা অল্প ছিল। মাত্র দুইটি উপগ্রহ (Tritom ও Nereid) সম্বন্ধে জানতাম আমরা। বড় ও কাছের উপগ্রহের নাম Triton. Triton নেপচুনকে উল্টোদিক থেকে প্রদক্ষিণ করে। ছোট ও দূরের উপগ্রহের নাম Nereid. পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় শনির মত নেপচুনেরও বলয় রয়েছে।

      উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশ  

    Voyager Instruments
    Illustration of Voyager instruments 
    Voyager এগারটি বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি নিয়ে মহাকাশে যায়। এগুলো হচ্ছে,
    • Narrow-angle ও wide-angle থেকে গ্রহ-উপগ্রহের ছবি তোলার জন্য উন্নত প্রযুক্তি,
    • গ্রহগুলোর ভৌত বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানার জন্য রেডিও প্রযুক্তি,
    • বায়ুমন্ডলীয় গঠন ও শক্তির সমতা বোঝার জন্য infrared interferometer spectrometer,
    • বায়ুমণ্ডলীয় বৈশিষ্ট্য জানার জন্য ultraviolet spectrometer,
    • চৌম্বকক্ষেত্র ও সৌর বায়ুর (Solar Wind) মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া বিশ্লেষণের জন্য magnetometer,
    • প্লাজমা আয়নের আণুবীক্ষণিক বৈশিষ্ট্য জানতে plasma spectrometer,
    • আয়ন প্রবাহ ও বন্টন মাপার জন্য অল্প শক্তিতে চলে এরকম একটি ছোট ডিভাইস,
    • Cosmic Radiation এর উৎপত্তি ও আচরণ নির্ণয় করতে cosmic ray detection system,
    • বৃহস্পতি থেকে নির্গত রেডিও তরঙ্গ বিশ্লষণ করতে planetary radio astronomy investigation,
    • গ্রহপৃষ্ঠের গঠন বোঝার জন্য photopolarimeter এবং
    • গ্রহগুলোর Magnetosphere সম্বন্ধে জানতে plasma wave system রাখা হয়। 

      নেপচুনে Voyager  

    ৭৩ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে ১৯৮৯ সালের ৫ই জুন থেকে নেপচুন পর্যবেক্ষণ শুরু করে। Voyager এর এত দূর থেকে তোলা ছবি পৃথিবীর টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবির চেয়ে চারগুণ ভালো। এটা প্রথমে আবিষ্কার করে ৭৩,০০০ মাইল দূরবর্তী কক্ষপথে আবর্তিত উপগ্রহ Proteus. Proteus এর ব্যাস ২৬০ মাইল। নেপচুনের আরেকটি উপগ্রহ Nereid যা Proteus থেকে ছোট। কিন্তু পৃথিবীর টেলিস্কোপগুলো Proteus কে কখনো শনাক্ত করতে পারে নি। আগস্টে Voyager 2 আরো তিনটি ছোট উপগ্রহ (Despina, Galatea ও Larissa) বের করে। এরা নেপচুনকে Proteus থেকেও নিকট দূরত্বে থেকে আবর্তন করে। Larissa ১৯৮১ সালে আবিষ্কৃত হলেও Voyager 2 এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।

    Great Dark Spot on Neptune
    Great Dark Spot on Neptune
    নেপচুনের ছবি থেকে দেখা যায় এর বায়ুমণ্ডলে পৃথিবীর মতো একটি বড় ঝড় রয়েছে। ঝড়টির নাম দেয়া হয় Great Dark Spot. এ ঝড়ে বাতাসের বেগ প্রতি ঘন্টায় ১,০০০ মাইল। Voyager এর পাঠানো নেপচুনের বলয়ের ছবিতে দেখা যায় ধুলা দিয়ে তৈরি ৫টি বলয় একত্রিত হয়ে 'বলয় সিস্টেম' গঠিত। আরও দুইটি ছোট উপগ্রহ (Thalassa ও Naiad) আবিষ্কৃত হয়। শনি ও ইউরেনাসের মতোই নেপচুনের চারটি উপগ্রহ ও 'বলয় সিস্টেম' পারস্পরিক জটিল পদ্ধতি তৈরি করেছে। পূর্বে আবিষ্কৃত উপগ্রহ Nereid এর ছবি তিন মিলিয়ন মাইল দূর থেকে অল্প রেজুলেশনে তুলে পাঠায়। Voyager এর পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায় নেপচুনের চৌম্বকক্ষেত্র গ্রহটির অক্ষের সাথে ৪৭° তে হেলানো ও উল্লেখযোগ্যভাবে কেন্দ্র থেকে ছড়ানো।

    Tritom
    Tritom from 3,30,000 miles away
    আগস্টের ২৫ তারিখে Voyager নেপচুনের উত্তর মেরু থেকে ৩,৪০৮ মাইল উপর দিয়ে উড়ে যায়। এর পাঁচ ঘন্টা পর Triton এর মাত্র ২৫,০০০ মাইল দূরত্বে চলে আসে। Triton হচ্ছে Voyager 2 এর পর্যবেক্ষণকৃত সর্বশেষ কঠিন বস্তু। অপেক্ষাকৃত কম ফাঁটল ও গর্ত থাকায় ধারণা করা হয় Triton একটি নতুন উপগ্রহ যা গলে যাওয়ার পর পুনরায় গঠিত হচ্ছে। Triton পৃষ্ঠে প্রচন্ড ঠান্ডা (392 °F) থাকা সত্ত্বেও উষ্ণপ্রস্রবণ (geysers) এর সন্ধান পাওয়া যায়। Triton ও নেপচুন অতিক্রম করে যাওয়ার সময় Voyager 2 এর প্রযুক্তি তাদের বায়ুমণ্ডলের অনেক তথ্য দেয়। চমৎকার ছবি তুলে পাঠায়। ১৯৮৯ সালের ২রা অক্টোবর পর্যন্ত নেপচুন পর্যবেক্ষণ করে। নেপচুন, নেপচুনের উপগ্রহ ও বলয়ের ৯,০০০ এর অধিক ছবি পাঠায়।
    Mission Neptune of Voyager 2
    Mission Neptune of Voyager 2

      এলিয়েনদের খোঁজে  

    নেপচুন পর্যবেক্ষণ শেষ করে Voyager আন্তঃনক্ষত্রীয় মিশনে যাত্রা শুরু করে। এ মিশন আজও অব্যাহত। অভ্যন্তরীণ power জমা রাখতে অনেকগুলো প্রযুক্তি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ এর ৫ই নভেম্বর এটি heliopause অতিক্রম করে। heliopause হচ্ছে সূর্য এবং আন্তঃনক্ষত্রীয় মাধ্যম দ্বারা তৈরি বুদ্বুদের মতো অঞ্চল 'heliosphere' এর সীমানা। আশা করা যায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত এটি তথ্য পাঠাতে পারবে। এরপর হারিয়ে গেলে হয়তো এলিয়েন বা কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী এটা খুঁজে পাবে। রেকর্ড করা স্বর্ণাবৃত তথ্যসমৃদ্ধ ডিস্ক রাখা আছে Voyager 2 এ। ডিস্কে ৫৫ টি ভাষায় অভিবাদন বার্তা, সংগীত, প্রাণিদের শব্দ ও পৃথিবী সম্বন্ধে তথ্য রেকর্ড করা আছে। এই ডিস্কের রেকর্ড কিভাবে চালাতে হবে (Instruction Manual), তা ও রেকর্ড করা হয়েছে।
    Gold Plated Disk in Voyager
    Gold Plated Disk in Voyager


    John Uri
    NASA Johnson Space Center
    রুপান্তর ও সম্পাদনাঃ Tushar Siddik

    Reference: NASA
    Picture: NASA
  • You might also like

    No comments:

    Post a Comment

Popular Posts