Sunflower |
২০১৯ শেষ হতে যাচ্ছে। বছর শেষে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ! বেশ ভালো কেটেছে এবছর। বেশ ভালো আছি।
- ২০১৯ এর শুরু ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার টেনশন দিয়ে। ২০১৮ তে শুরু হওয়া পরীক্ষার কয়েকটা জানুয়ারি মাসে ছিল। বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে (যাদের সাথে মনোমালিন্য ছিল) বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন তৈরি করার চেষ্টা করি। বছর শেষে বলতে পারি, এ কাজে আংশিক সফল হয়েছি। একটি প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজের কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।
- গত বছরের শেষের দিকে যে প্রদীপ শিখা হাওয়ায় নিভু নিভু করছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে সে প্রদীপ শিখাকে নিজের কাছে রাখার শেষ চেষ্টা করি। ফলাফলে প্রদীপ ঠিকই আছে, শিখা নিভে গেল। একটু ভেঙে পড়েছিলাম। কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব প্রচুর সহযোগিতা করে এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে বসন্ত বরণ করি। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি।
- মার্চ মাসে প্রদীপ শিখার জ্বলন্ত অঙ্গারও উধাও হয়ে যায়। সে সময়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। স্ট্রেস রিমুভারও নিয়েছি। কোনো কাজই করে নি। ঢাকায় কিছু প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপর একজন বন্ধুর গ্রামে যাই (যদিও এর পটভুমি ভিন্ন)। অ্যানড্রয়েড স্টুডিওতে কাজ করতে গিয়ে এই মুহুর্তে এটা আমার কাজ নয়। টাঙ্গাইল ঘুরতে যাই। একটা ছোট-খাটো অনলাইন বিজনেস শুরু করার চেষ্টা করি। ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইনে যাই।
- এপ্রিলে কিছুটা ধাতস্থ হই। তারপরও মানসিক বিপর্যস্ততা ছিল অনেক। বাঙলা নববর্ষ বরণ ডিপার্টমেন্ট ও বাঁধন জোন থেকে করি। বিজনেস নিয়েই দিন কেটে যাচ্ছিল। একটু অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলাম। এতো কিছুর মাঝে নিজেকে motivator মনে হতো। বন্ধুরা মিলে একটা মিনি চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাই। আম গাছে হানা দেই।সাইকেলে স্টান্ট করতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পাই। এতকিছুর ভিতরেও আমার ভিতরে বিশাল শূন্যতা। মানসিক অবস্থার উন্নতি নেই। কাউকে বুঝতে বা জানতে দেই নি। ধৈর্যের সীমানা যাচাই করে যাচ্ছি।
- মে মাসের শুরুর দিকে বড়শি ছিপ নিয়ে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব বেড়িয়ে পরি। রোজা রমজানের দিন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করি। বেশ কিছু ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করি। নিজে ইফতারের আয়োজনও করি।
- জুন মাসের ঘটনাগুলোর মধ্যে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কথা মনে পড়ে। ডিপার্টমেন্টের একটা সার্ভের কাজ ছিল। একদিন ক্যাম্পাস থেকে বাসায় হেঁটে আসি। গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে মনোযোগী হই।
- জুলাইতে একটা টার্গেট ঠিক করি। সেটা বাস্তবায়িত হয় নি। বাঁধনের পক্ষ থেকে আমরা হলে নতুন ব্যাচকে বরণ করে নিই। খেলাঘরের পক্ষ থেকে কিছু মানব বন্ধন, সমাবেশে অংশগ্রহণ করি। সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাই। সবচেয়ে বাজে জিনিস ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান দেখা। প্রচুর কার্টুন দেখি।
- আগস্ট থেকে নিজের activity কমিয়ে ফেলি। আমাদের হলের তিনপাশে আরো নতুন তিনটা হলের ব্যাপারে নীরব প্রতিবাদী আমি।
- সেপ্টেম্বরের প্রেজেন্টেশনের কথা মনে পড়ে। বন্ধুরা স্লাইড ও গ্রাফের খুব প্রশংসা করেছিল।
- অক্টোবরে নরসিংদী যাই। কোনো একজন মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য অভিভাবকের দায়িত্ব নেই। শিশুর জন্মের পর আযান দেই। অক্টোবরে রোবোটিক্স নিয়ে কাজ করার জন্য ট্রেনিং নেয়া শুরু করি।
- নভেম্বরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অল্পস্বল্প লেখা শুরু করি। তারপর নিজের ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করতে থাকি।
- ডিসেম্বরে বাঁধনের ট্যুরে সীতাকুণ্ড যাই। সামনে পরীক্ষা। পড়াশোনা করি না। বাসার আশে পাশে সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। বিজয় দিবস উদযাপনও করেছি।
বছর শেষে বলি, নিজের মূল্য নিজে দিলে কখনো মন খারাপ করে পড়ে থাকতে হয় না।
No comments:
Post a Comment