-->

Welcome here

Confirmed
Deaths
Recovered
Updated:
  • Bhawal to Gazipur (Ramendra - Bivabati)

    ভাওয়াল থেকে গাজীপুর
    (রামেন্দ্র-বিভাবতী)

    Hunting Tiger: Ramendra Narayan Ray
    Hunting Tiger: Ramendra Narayan Ray
    আমোদ ফুর্তি ছাড়াও মেজ কুমারের নেশা ছিল বন্য পশু শিকার। প্রায় প্রতিদিন বন্দুক আর হাতী নিয়ে বেরিয়ে পড়া শিকারে। শুকর, হরিণ, খেঁক শিয়াল, খরগোশ, বাঘ – যা ই পাওয়া যায়। ভাওয়াল মামলার শুনানিতে উপস্থিত হতে গড় পেরোনোর সময় বাঘের সামনে পড়া ছিল সাধারণ ঘটনা। একবার বাঘের জন্য সারারাত গাছের উপর থাকার গল্প ও প্রচলিত ছিল এই অঞ্চলে। রাজবাড়ির চৌহদ্দীতে তাঁর চিড়িয়া খানায় ছিল দুটি করে বাঘ ও চিতা, একটি সাদা শেয়াল ও অন্যান্য পশুপাখী।
    দার্জিলিং যাত্রার পনের দিন আগের ঘটনা। সালনা* কাছাড়ির কাছে জোলারপুরে জঙ্গলে মেজকুমার শিকার করেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এই ছবিটি-ই পরিচিত ‘টাইগার ফটো’ নামে। এই ছবি উনবিংশ শতাব্দীর একটি অন্যতম ছবি হিসেবে স্থান পায় বাংলাদেশ আর্কাইভস প্রদর্শণীতে। এর পাঁচ ছয় দিন পর আরো একটি শিকার সংঘটিত হয়।
    *[জয়দেবপুর হতে এই সালনা পার হয়েই এখন যেতে হয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। যে জঙ্গলে ৮০-৮৫ বৎসর পূর্বেও ছিলো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পদচারনা, এখন নেই শৃগালেরও অস্তিত্ব।]

    বছর তিনেক আগে মেজকুমারের সিফিলিস ধরা পড়ে। হাওয়া পরিবর্তন ও চিকিৎসার জন্য দার্জিলিং যাত্রা। ১৮ ই এপ্রিল সুস্থ অবস্থায় যাত্রা করে ৮ই মে, মাত্র কুড়ি দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ! মেজকুমারের কথিত মৃত্যুর তিনদিন পর ১১ই মে মেজরাণীকে নিয়ে সত্যেন্দ্রনাথ জয়দেবপুর পৌঁছেন। মৃত্যুর পর চরম শোকাগ্রস্ত মেজরাণী তাঁর ভাইকে বলেন, “আমার কাছে এসো না, তুমিই আমাকে রাণী করেছিলে, আবার তুমিই আমাকে ভিখারিণীও করেছ।”

    তবে মেজকুমার ভাগ্যচক্রে রাজ পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন হওয়াতেই হয়তো স্বাদ পেয়েছিলেন ভিন্নতর জীবনের, অনুভব করতে পেরেছেন প্রজাদের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও আনুগত্য। নতুবা তাঁকেও হয়তো বরণ করতে হতো অন্য দু ভাই-এর মতো উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে অসংযত/অপরিমিত ‘জীবন সুধা’ পান জনিত অপরিণত মৃত্যু।

    অপূর্ব রূপসী মেজোরাণী বিভাবতী দেবী হুগলী জেলার উত্তরপাড়ার বিখ্যাত জমিদার বাড়ির কন্যা। বিয়ের আগে হতেই ছিলেন পিতৃহীন। মায়ের সাথে থাকতেন মামা বাড়ী। তাঁকে জড়িয়ে দার্জিলিং-এর আরেক সঙ্গী আশু ডাক্তারকে নিয়ে তৈরী হয় নানান মুখরোচক রটনা। যাত্রা পালার কল্যানে ‘আশু ডাক্তার’ নামটি পরিণত হয় গালিতে। এই রটনার সমর্থনে প্রামাণিক তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে আশু ডাক্তারকে  দেখা যেতো কোলকাতায় যেয়ে মেজো রাণীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে। মেজো রাণীর প্রতি আশু ডাক্তারের আনুগত্য ছিল অসীম।
    ভাওয়াল পরিবারের সদস্য শ্রীমতি রত্না চ্যাটার্জীর ভাষ্য মতে জানা যায় মেজোরানী বিভাবতী ছিলেন স্বৈরীনি। পারিবারিক ডাক্তার আশুতোষ দাশগুপ্তের সাথে ছিল মেজোরানীর অবৈধ সম্পর্ক। আশু ডাক্তারের অবৈধ সন্তান যখন বিভাবতীর গর্ভে তখন মেজোকুমার শারিরীকভাবে অক্ষম সন্তান দানে। কারন অসংযম যৌনাচারে কিছু দিন আগেই তিনি সিফিলিসে আক্রান্ত ছিলেন। মেজোকুমার যখন বড় রানী সরযুবালা ও ছোট রানী আনন্দকুমারীর প্ররোচনায় বিভাবতী কে শাস্তি দিতে উদ্যত তখনই মেজোরানী ও আশু ডাক্তারের ফাঁদে পড়ে দার্জিলিং যান চিকিৎসায়। কথিত যে দার্জিলিং চিকিৎসার জন্য মেজোরানী মেজোকুমারকে অসুস্থ্য করার জন্য স্বল্পমাত্রায় বিষ প্রয়োগ করত।

    Related Post:


  • You might also like

    No comments:

    Post a Comment

Popular Posts